আগামিকাল রোববার এই সিদ্ধান্তের কথা এক ঘোষণার মাধ্যমে নিশ্চিত করা হবে। তবে একজন ঊর্ধ্বতন চীনা কর্মকর্তা বলেছেন, নিজেদের সার্বভৌমত্ব এবং স্বার্থ রক্ষা করার সক্ষমতা চীনের থাকা প্রয়োজন।
পৃথিবীতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ছাড়া অন্য সব দেশের চাইতে সামরিক ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি ব্যয় করে চীন, যদিও এই ব্যয় সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ক্রমাগত কমে আসছিল।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক ব্যয় ১০ শতাংশ বাড়ানোর কথা ঘোষণা করার কয়েকদিন পরই চীনের দিক থেকে সামরিক ব্যয় বৃদ্ধির কথা জানানো হলো। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চীনের সামরিক ব্যয়ের বেশির ভাগই খরচ করা হচ্ছিল বিমানবাহী যুদ্ধজাহাজ বা দূরপাল্লার বোমারু বিমানের মতো প্রযুক্তির পেছনে।
মনে করা হচ্ছিল যে এর মাধ্যমে চীন বহির্বিশ্বের কাছে তার শক্তিকে তুলে ধরতে চায়।
বিবিসির সংবাদদাতা স্টিফেন ম্যাকডোনেল বলছেন, ২০১৭ সালে চীনের সামরিক ব্যয় অনেকখানি বেড়ে যাবে, কিন্তু অন্য বছরগুলোর মতো নয়।
চীনের জাতীয় গণ কংগ্রেসের উদ্বোধনের আগে এর মুখপাত্র ফু ইং বলছেন, প্রতিরক্ষা বাজেট বাড়বে সাত শতাংশের মতো। অবশ্য গত দু’বছর ধরে চীনের সামরিক ব্যয় বৃদ্ধি এক অংকে সীমিত ছিল, যদিও তার আগে প্রায় দু’ দশকে এই বৃদ্ধির হার ছিল ১০ শতাংশ বা তারও বেশি।
তবে চীনের সামরিক ব্যয়ের ওপর যারা নজর রাখেন, তারা এই সরকারি হিসাব কতটা সঠিক তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন।
কারণ তাদের ধারণা, চীনের সামরিক ব্যয়ের অনেক কিছুই গোপন রাখা হয়, এবং ব্যয় বৃদ্ধির আসল পরিমাণ অনেক বেশি হবে।